দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন বিএনএস গ্রæপের চেয়ারম্যান এম এন এইচ বুলু। তিনি বলেন, ওই মিথ্যে মামলায় তাকে গ্রেফতার করে দীর্ঘ ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে রাখা হয়।
এই সময়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েন। গত বছরের ৬ জুন তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন এবং এখন পর্যন্ত শারীরিক নানারকম সমস্যায় ভুগছেন। পায়ের সমস্যার কারণে ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারছেন না। মিথ্যা মামলায় সামাজিক, ব্যাংকিং কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তিনি এ জেলা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়েছেন।
বুধবার (৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এম এন এইচ বুলু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক, বনানী শাখা কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্দনে ও কু-পরামর্শে ২০১৫ সালের ৪ মার্চ মিথ্যা বর্ণনা দিয়া তার বিরুদ্ধে বনানী থানার মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তারা বুলুকে আমির ফুড প্রোডাক্টস নামীয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের নমিনী হিসাবে উল্লেখ করে। অথচ তিনি ওই অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনী হননি। অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনী ফরমে তিনি স্বাক্ষর করেননি এবং ওই অ্যাকাউন্ট খোলাসহ কোন কার্যক্রমে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নাই। যার কারণে পরবর্তী সময়ে তিনি (বুলু) সিএমএম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ওই মামলা হতে অব্যাহতি পেয়েছেন।
বিএনএস গ্রæপের চেয়ারম্যান এম এন এইচ বুলু আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের দায়ের করা ওই মিথ্যা মামলার সূত্র ধরে সিআইডি তার বিরুদ্ধে পুনরায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে ১২ লাখ টাকা তার হিসাবে জমা দেখানো হয়। কিন্তু ওইদিন আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা আসেনি। ওই মামলায় তিনি অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে ছিলাম।
বুলু বলেন,এই সময়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ জুন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হই এবং এখন পর্যন্ত তিনি শারীরিক নানারকম সমস্যায় ভুগছি এবং পায়ের সমস্যার কারণে ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারি না।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিথ্যা মামলার কারণে ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে থাকাকালীন আমার ফ্যাক্টরির জন্য কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব না হওয়ায় তার সমস্ত ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায় এবং আমার শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। এছাড়াও আমার সামাজিক, ব্যাংকিং কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছেন।