দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন এবার বিকাশ, নগদ ও চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইভ্যালির সাবেক এমডি মো. রাসেলের এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কত টাকা প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে দ্রæত হলফ করে এ তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদেরকে হাইকোর্ট।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ইভ্যালি বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বে এ আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের আদেশ প্রাপ্ত ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিকাশ ও নগদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিও কে এ তথ্য দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। ইভ্যালি বোর্ডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান।
গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল।
রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব বলে ছিলেন, ৯ মামলায় রাসেলের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে আরও মামলায় গ্রেফতার থাকায় তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।
গত ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্ত হন ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। ওই দিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। গুলশান থানার একটি এবং ধানমন্ডি থানার পাঁচটি মামলায় বাদীর সঙ্গে মীমাংসার ভিত্তিতে শামীমাকে আদালত সব মামলায় জামিন দেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বে এ বোর্ড গঠন করেন।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। #