দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অনেকের ধারণা রয়েছে , দুদকে যারা চাকরি করেন-তাদের অনেকের যথেষ্ট টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি রয়েছে । কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে, দুদকের মরহুম পরিচালক আবু সাঈদ এবং সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মদের কোনো অর্থ-বিত্ত বাড়ি-গাড়ি নেই। তাদের সততার কাছে অনেকের ধারাণা পরাজিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই সততার সঙ্গে জীবন যাপন করছেন।
রোববার ( ১৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই সংস্থার অকালে মৃত্যুবরনকারী ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্মৃতিচারন ও শোকসভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
মৃত্যুবরনকারী ওই ৪ কর্মকর্তা হলেন, দুদক পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মেদ, কনস্টেবল মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল, কনস্টেবল মোঃ মজিবুর রহমান । গত জুলাই মাস থেকে গত এপর্যন্ত ওই ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক আ.ন.ম আল ফিরোজ, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, উপপরিচালক মোঃ তালেবুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানুষের মৃত্যু অবধারিত, তবে তা মেনে নেওয়া কঠিন। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের কিছু শিক্ষা দেয়। কী ভাবে দুদকের এসব কর্মকর্তারা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন আজ তা শুনছি। কীভাবে তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আত্মত্যাগ করেছেন। আসুন, আমরা সবাই তাদের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করি।
দুদকে তদবির নিয়ে অনেক কথা ছিল। আমি দৃঢ়ভাবেই বলতে পারি আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বিগত সাড়ে তিন বছরে দুদকের তদবির বাণিজ্য শুণ্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। দুদকে এখন আর তদবিবর বাণিজ্য নেই। কেউ তদবির করতে সাহসও পান না। তিনি বলেন, দুদকের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব প্রশংসারযোগ্য। এখানে কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, নেই কোনো রাজনীতি।
এ সময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আজ যদি মরহুম সাঈদ কিংবা মঞ্জুরের কোটি কোটি টাকা থাকতো -তাহলেই বা কি হতো ? তাহলে হয়তো তারা অন্যভাবে মূল্যায়িত হতেন। আমি বিশ^াস করি মানুষের প্রয়োজনের অতিরিক্তি সম্পদ তার জন্য সত্যিই বোঝা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর এই সম্পদ নিয়েই কলহের সৃষ্টি হয়। #