দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
চলতি অর্থবছরে গত জুলাই থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করেছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগ মিলিয়ে আরও প্রায় সাড়ে ৪৬ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে হবে। হাতে সময় আছে মাত্র ৪ মাস।
এনবিআর’এর তথ্যানুসারে, অর্থবছরের ৮ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আরও আদায় করতে হবে প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। কিন্তু হাতে সময় মাত্র ৪ মাস। গত বছর ওই সময়ে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
জুলাই থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে শুল্ক আহরণ করেছে। প্রায় ৫৬ হাজার ৯৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি শুল্ক আহরিত হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে আদায় হয়েছিল ৪৬ হাজার ২৩৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যার মধ্যে শুধু ফেব্রæয়ারি মাসে শুল্ক আহরিত হয় প্রায় ৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
অপর স্থানীয় পর্যায়ে মূসক বা ভ্যাট বাবদ এনবিআর সংগ্রহ করেছে ৬৬ হাজার ৮৭০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত অর্থ বছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ভ্যাটে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যেখানে ফেব্রæয়ারি মাসে ভ্যাট আসে ৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা।
আয়কর বাবদ জুলাই থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৫৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এনবিআর আদায় করে ৫৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ হলে ঘাটতি ৬ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে একই সময়ে আয়কর আদায় হয়েছিল ৪৬ হাজার ৮৭৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ফেব্রæয়ারি মাসে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৬ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা আয়কর আদায় করতে সক্ষম হয়েছে এনবিআর।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ১৬ শতাংশের বেশি প্র্রবৃদ্ধিতেও রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে আদায় হয় ৪৬ হাজার ৭৬৯ কোটি, ভ্যাট থেকে আসে ৫৭ হাজার ৯৭৩ কোটি এবং কাস্টমস বা শুল্ক থেকে আসে ৪৮ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। ৪১ হাজার ১১৮ কোটি ২০ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে গত ২০২০-২১ অর্থবছর শেষ করেছিল এনবিআর।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। #