দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
রাজধানীসহ সারাদেশে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনের শুনানি ৮ মার্চ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। রিটে আবেদনে সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিষ্ক্রিতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
রিটে আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট, টিসিবির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ৮জনকে বিবাদী করা হয়।
সোমবার (৭ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেে রিট আবেদনটি শুনানির শুরুতেই আবেদনটি সংশোধন করে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবীরকে আদালত বলেন, রিট আবেদনটি ঠিক করে আগামীকাল নিয়ে আসুন, আমরা শুনব; এখানে সবার স্বার্থ জড়িত। গত ৬ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ যৌর্থভাবে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটে বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এই তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত মাসে সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধি করেছে । সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৬৮ টাকা।
কিন্তু গত ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। তবে দেশের বাজারে সরকারেরনির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামেও সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা যায়। ভোজ্যতেলের এ দাম বৃদ্ধিতে সীমাহীন কষ্টে পড়ে সাধারণ জনগণ। জনস্বার্থে আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট আবেদন করার পরামর্শ দেন। আদালতের ওই অনুযায়ী রিট আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। #