দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিপোর্টে উঠে আসা ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার সঙ্গে জড়িতরাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বে এরুল জারি করেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু করা হয় এবং কারা ইস্যু করে তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জারি করা ওয়ারেন্ট ভুয়া কি না, তা যাচাইসাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরই আওলাদকে ‘ বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি’, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন তার স্ত্রী।
সেই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ভুয়া মামলায় আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। এ রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আজ এ আদেশ দেন আদালত।
আইনজীবী এমাদুল বশির জানান, আওলাদ হোসেন একের পর পরোয়ানা নিয়ে প্রথমে কক্সবাজার পরে রাজশাহী তারপর বাগেরহাট ও শেরপুরে মোট ৬৮ দিন কারাভোগ করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশে তিনি মুক্তি পান। #