দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শাহিন নামের এক ভদ্রলোক ধুমপান ছেড়ে দেবার পর ৭ বছরে ধুমপান বাবদ জমানো টাকা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ টাকা তার পরিবারকে উপহাস দিয়েছেন। তার ধুমপান ছেড়ে দেবার পর ৭ বছরে ধুমপান বাবদ জমানো টাকা নিজের সন্তানদের পড়ালেখার জন্য খরচ করার ঘোষাণার বিষয়টি সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম’ ফেসবুকে’ সন্তানদের সামনে জমানো টাকার ছবি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ‘দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের’ পাঠকদের জন্য ফেসবুক থেকে নেওয়া তথ্য ও ছবিটি প্রকাশ করা হলো;
২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি স্ত্রীকে কথা দেন, তিন আর ধুমপান করবেন না। স্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, “সিগারেট কেনার পেছনে প্রতিদিন আপনার কতো টাকা খরচ হয়?” এরপর প্রতিদিন ধুমপানখাতে খরচের টাকাগুলো জমানো শুর হয়। টানা ৭ বছরে শুধুমাত্র ধুমপানখাতে জমানো ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ টাকা তার পরিবারকে উপহার দিয়েছেন।
তার ধুমপান ছেড়ে দেবার পর ৭ বছরে ধুমপান বাবদ জমানো টাকা নিজের সন্তানদের পড়ালেখার জন্য খরচ করার ঘোষাণার বিষয়টি সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম’ ফেসবুকে’ সন্তানদের সামনে জমানো টাকার ছবি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শাহিন জবাব দেন, “কোনোদিন ৫০ টাকা, কোনোদিন ১০০ টাকা, কোনোদিন ১৫০ টাকা।”
স্ত্রী পরামর্শ দিলেন, “ঠিক আছে, এখন থেকে আপনার সিগারেট কেনার খরচ আমার কাছে জমা রাখবেন। ঠিক আছে?”
সেই থেকে টাকা জমানো শুরু।
৭ বছর পর সঞ্চিত অর্থ ভেঙ্গে দেখা গেলো মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ টাকা হয়েছে। এই সাত বছর জনাব শাহিন যে টাকাগুলো ব্যয় করতেন সিগারেট কেনার পেছনে, সেই টাকা জমিয়ে রাখায় একসাথে এতো টাকা হয়েছে।
টাকাগুলো তিনি তার সন্তানদের পড়ালেখার পেছনে ব্যয় করবেন বলে জানান। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল… কবিতার মতো দেখা যায় জনাব শাহিনের জমানো টাকা তার কাছে অনেকটা মহাদেশ, সাগরের মতো হয়ে গেছে।
যেকোনো বদ অভ্যাস ত্যাগ করার পর সেই অভ্যাসের পেছনে আগে যতো টাকা খরচ হতো, সেগুলো জমানো শুরু হলে একসময় মোটা অংকের টাকা হয়ে যাবে। জনাব শাহিনের গল্প সিগারেট খোরদের জন্য যেমন শিক্ষণীয়, সাধারণ মানুষের জন্যও শিক্ষণীয়।
সৌজন্যে: আরিফুল ইসলাম #