দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ক্লিনফিড বাস্তবায়ন সহজ কাজ ছিল না বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বলেছেন,গত ১৫ বছরে ক্লিনফিড এটিও বাস্তবায়িত হয়নি। এরআগেও একবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নানা অজুহাতে সেটি করা সম্ভবপর হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সম্পাদক ফোরামের নেতৃত্বে সদস্যদের সাথে এক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,এবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেভাগে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে এবং যে সমস্ত জায়গা থেকে কথা উঠতে পারে তাদেরকে অবহিত করে আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি৷ সুতরাং এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য সম্প্রচার, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে আমরা এব্যপারে উদ্যোগ নিয়েছি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইত্যোমধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি।
মন্ত্রী বলেন,আপনাদের যে প্রস্তাব সেটার জন্য ধন্যবাদ জানাই। অন্তত প্রথমে ৫০টি পত্রিকা সম্ভব হলে ১০০ টি পত্রিকার ক্ষেত্রে রিয়েলিস্টিক যে সার্কুলেশন সেটার ভিত্তিতে ক্রম করা। আমি মনে করি এটা অনেক ভালো প্রস্তাব, আমি এটা করতে চাই। আপনারা বলাতে আমার সুবিধা হলো।
বিজ্ঞাপনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং এর জন্য বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না এটি আসলে কিছুটা জানতাম। তবে এতো ভয়াবহ চিত্র সেটা জানা ছিলো না। এবিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। ই- টেন্ডারিং হলেও যেন বিজ্ঞাপন যায়। আর আপনারা যে বকেয়ার কথা বলেছেন সেটা আমি জানি।
অনেক পত্রিকার কয়েক কোটি টাকা করে বাকি আছে। কোর্টেও যে পড়ে আছে সেটা অবশ্য জানতাম না। এগুলা আমি জানলাম। দেশের মানুষ জানলেও মনে হয় ভালো হতো। কারণ এই বাকিটাতো থাকার কথা ছিলো না। বিজ্ঞাপনের টাকা প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। কেন বাকি পড়ছে এটা আসলে বিষয়।
তিনি বলেন, এবিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে সকল মন্ত্রণালয়কে তাগাদাও দিয়েছিলাম। আমরা পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। আপনারাও বড় বড় মন্ত্রণালয়, বিচারপতির নজরে আনেন কোর্টে কতো কোটি টাকা বাকি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যায় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মনীতিহীন ভাবে, এভাবে এ মাধ্যমটা চলতে পারে না। অনেক নিয়মনীতি আছে কিন্তু যেগুলোতে নেই সেখানে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সূত্র:- ইউএনবি #