দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ ৫৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
হাইকোর্টে আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তবে ২৬ সেপ্টেম্বরের পর তাদের ঢাকার জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
জামিন পাওয়াদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফুটবলার আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালও রয়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বিএনপি নেতাদের জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়েহাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে, ১৬ আগস্ট রাতে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়। পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৫৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা হয়। মামলায় পরিকল্পিতভাবে নাশকতার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা করে আহত করা এবং গাড়ি ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বিএনপির নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হককেও আসামি করা হয়। ১৬ আগস্ট এই সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
১৬ আগস্ট বেলা ১১টায় চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল ঢাকা মহানগর বিএনপির দুই নতুন কমিটির। তার আগেই সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
এতে পুলিশের ১৪ জন সদস্যসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের অন্তত অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হন।#