সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

চাঁদা চেয়ে কাফনের কাপড় পাঠাতেন সন্ত্রাসী জিসান!

ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই জিসানই রাজধানীবাসীর এক সময়কার আতঙ্কের নাম ছিলেন।

জানা যায়, তার নাম শুনলেই আঁতকে উঠতেন অনেকে। এছাড়া ঢাকার ত্রাস জিসান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের কাছে চাঁদা দাবি করে কাফনের কাপড় পাঠাতেন।

দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পর ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত জিসান আহমেদ ধরা পড়েন। জিসানের নাম বরাবরই ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের তালিকায় ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এক দশকে দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর নাম তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের অন্যতম হলেন জিসান। সম্প্রতি তার বিষয়ে আরও জোরালোভাবে খোঁজখবর শুরু হয়। এরপরেই দুবাইয়ের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

তার পুরো নাম জিসান আহমেদ মন্টি। রাজধানীর গুলশান, বনানী, পল্টন, মগবাজার-মালিবাগ, ফকিরাপুল, মতিঝিল এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন তিনি। অভিজাত এসব এলাকার ব্যবসা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত চাঁদা তুলতেন তিনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ব্যবসা সবই করতেন জিসান। এক সময় ঢাকায় এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী বাহিনীও গড়ে উঠেছিল তার। যাদের নাম শুনলে ভয়ে তটস্ত থাকতেন সবাই। দিনে-দুপুরে তারা চাঁদা চেয়ে চিরকুট পাঠাত। সঙ্গে পাঠাতেন কাফনের কাপড়। অনেকেই নীরবে দাবিকৃত সেই চাঁদা দিয়ে দিত। চাঁদা না দিয়ে তাদের হাতে অনেকই জীবন হারিয়েছেন।

জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত এ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে ঘোষণা করা হয় পুরস্কার। ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটে তার হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক বহনের বর্ণনা দিয়েছিল। ২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দু’জন গোয়েন্দা পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসেন জিসান। এরপরই চলে যান আত্মগোপনে। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় জিসান।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, সেই সময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ঠিকানা দেখানো হয়েছে সারদা পল্লী, ঘানাইলা, মালুগ্রাম শিলচর, চাষার, আসাম। বাবার নাম হাবিবুর রহমান চৌধুরী। মায়ের নাম শাফিতুন্নেছা চৌধুরী। আর স্ত্রীর নামের স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে রিনাজ বেগম চৌধুরী। পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান দুবাই হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।

দেখা গেছে, ২০০৯ সালের ৭ জুন প্রদান করা পাসপোর্টটির মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০১৯ সালের ৬ জুন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের খবর, চলতি বছরের ৬ জুন পাসপোর্টটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর ফের ভারতীয় পাসপোর্টটি ১০ বছর মেয়াদের নবায়ন করা হয়েছে।

জানা যায়, দুবাইয়ে শীর্ষসন্ত্রাসী জিসানের দুটি রেস্টুরেন্ট ও গাড়ির ব্যবসা। এসব পরিচালনা করেন তার ছোট ভাই শামীম এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাকিল মাজহার। এর মধ্যে শাকিল মাজহার যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহ-সম্পাদক রাজিব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে দুবাই চলে যান তিনি।

সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর জিসানের নাম নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12