বিশেষ প্রতিনিধি,দূরবীন নিউজ:
প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনে অজুহাত না দিয়ে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এতে ডিজিটালি প্রকল্পের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। যে সব জায়গায় প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, সেখানে দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী কাজের পরিধি উল্লেখ্য করে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়কে সরকারের বহুমুখী দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) শিল্পমন্ত্রী ২০২০ -২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কমর্মসূচি (আরএডিপি) পর্যালোচনা ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা’র সভাপতিত্বে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৫টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। সভায় জানানো হয় গতকাল ২৮ জুলাই ২০২১ তারিখে একনেকে সভায় “বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী, ঠাকুরগাঁও” শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। এ প্রকল্পেন প্রধান উদেশ্য হলো- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উদ্যোক্তাদেন জন্য শিল্প কমপ্ল্যায়ান্স সমৃদ্ধ আধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে শিল্প প্লটের ব্যবস্থা করণ।
সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ০৩টি কারিগরি সহায়তা এবং ০১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জুন ২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ৩ হাজার ১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, নতুন অর্থবছরে যেন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান লাবজনক হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। চলমান প্রকল্পগুলোর যথাযথভাবে বাস্তবায়নের করতে হবে। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রকল্প পরিচালকদেরকে স্ব স্ব প্রকল্প এলাকা থেকে কাজের তদারকি করতে হবে। যেসব জায়গায় বাফার গোডাউনের কাজ শেষ হয়নি, সেখানে দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা মন্ত্রণালয় ও দপ্তর /সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদেরকে প্রকল্পের কাজকে নিজের কাজ মনে করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার আহবান জানান।
এডিজেড/একে/ দূরবীণ নিউজ