দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর কদমতলীতে মা, বাবা ও বোনকে হত্যা মামলায় খুনি মেহজাবিন ইসলাম মুনের বিরুদ্ধে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। একই সঙ্গে ৩১ আগস্ট এই হত্যা মামলায় মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফরকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
পরিকল্পিতভাবে মেহজাবিন মুন হত্যা করেছে তার বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং ছোট বোন জান্নাতুল (২০) কে।
রোববার (২০ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন। মেহজামিনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক আসামি মেহজাবিন ইসলাম মুনেরিবিরুদ্ধে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রাজধানীর কদমতলীতে একই পরিবারের মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফরকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই এবং আটক মেহজাবিন ইসলাম মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।
আজ রোববার (২০ জুন) দুপুরে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর।
ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকালই মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার স্বামী শফরকুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
পুলিশ জানায়, মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন মুন নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে নিহত ৩জনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের বড় মেয়ে মেহজাবিন সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, ‘মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান।’
সূত্রে জানা যায়, দু’দিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই ও গ্রেফতার হওয়া মেহজাবিন ইসলাম মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সে মামলায় মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় মেহজাবিন গ্রেফতার হলেও তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশি পাহারায় রয়েছেন।
#