দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
অযথা হয়রানীমূলক খুন, ধর্ষণ ও মানবপাচারের সাজানো অভিযোগের অর্ধশত গায়েবি মামলার বাদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যারফলে এসব গায়েবি মামলার বাদীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন রিটটি করেন। তার পক্ষে আইনজীবী এমাদুল হক বসির। আবেদনে মামলার ভুয়া বাদীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত একরামুল আহসান কাঞ্চনের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), মহাপরিচালক র্যাব ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী এমাদুল হক বসির সাংবাদিকদের বলেন, রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
কিন্তু একটি মামলারও বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। তারপরও তার বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ৪৬৫ দিন জেলও খেটেছেন একরামুল।
এ পর্যন্ত ৪৯টি মামলা হয়েছে দাবি করে রিটকারী একরামুল আহসান কাঞ্চন বলেন, ‘হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমন কোনো অভিযোগ নেই, যা আমার ওপর প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মামলার বাদীদের খুঁজে পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব মামলায় দীর্ঘদিন জেলও খেটেছি। এর মধ্যে অনেক মামলায় আদালত বাদী খুঁজে না পাওয়ায় খালাস পেয়েছি। এখন ক্ষতিপূরণ চেয়ে এবং মামলার বাদী খুঁজে বের করতে নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি।’#