দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন,বিএনপি’র নেতারাই তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের বিচার চায়নি।
ডিএসসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গত ৩০মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী ছিলো। বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিচার হবে কোথায় থেকে ? যেটা হয়েছে সেটা সেনা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে। কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এই বিচার করতে না পারা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রকাশ্য আদালতে জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের বিচার করতে না পারা বিএনপির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
আজ সোমবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে শেখ হাসিনার ৪১ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেছেন। ঢাকার কৃতিসন্তান মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাঈদ খোকন আক্ষেপ করে বলেন, আজ যদি জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডে বিচার প্রকাশ্য আদালতে হতো বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারতো কারা এই হত্যাকান্ডের জড়িত ছিল। কেন এই হত্যাকান্ড ঘটে ছিল। কী ছিল তার উদ্দেশ্য ও রহস্য। এই হত্যাকান্ড আজও রহস্যময়ী হয়ে রয়েছে। দেশের মানুষ জানতে চায়, কেন এই হত্যাকান্ডের বিচার হলো না। জনগণ আশা করে বিএনপি বিষয়টি স্পষ্ট করবে। আমি এটা বলতে চাই না বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত ছিলো বা ছিলো না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার প্রচলিত আইনেই করেছে। ইচ্ছে করলে তিনি প্রচলিত আইনের বাহিরে গিয়েও করতে পারতেন। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার আস্থা ছিলো। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও প্রচলিত আইনে করেছেন। রায়ও কার্যকর করেছেন।
সাঈদ খোকন বলেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বে অন্যতম দু:খী দরিদ্র, নিপিড়ীত ও নির্যাতিত মানুষের নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে আমাদের দেওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি বাবা মা সহ জীবনের সবকিছু হারিয়েছেন। আমাদের দেওয়ার আছে শুধু বুক ভরা ভলোবাসা।
ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম সুমন। সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাদেক মিঠু, সালাহউদ্দিন আহমেদ তুহিন প্রমুখ।
#