দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র্যাব। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। পরে র্যাব মাদানীকে গাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে জিএমপির গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিএমপির দক্ষিণ বিভাগের গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহসানুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাব বাদী হয়ে গত বুধবার দিবাগত রাতে মামলাটি করে। মামলায় অভিযোগ করা হয় তিনি আইন না মেনে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
৭ এপ্রিল সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচিত ও ভক্তরা অভিযোগ করে আসছিলেন, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনার নিজ বাসা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া রফিকুল ইসলামও সবশেষ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমাকে গুম করার চেষ্টা চলছে’।
গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে এ ‘শিশুবক্তা’কে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি এলাকা থেকে শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল।
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়, থাকেন গাজীপুরে। তিনি নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক। রফিকুল ইসলামের বয়স ২৬ বছর। অনেকেই তাকে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবেও চেনেন। তবে নিজের নামের সঙ্গে ‘শিশুবক্তা’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি জানান তিনি নিজেই। বিভিন্ন সময়ে ওয়াজে তার নামের সঙ্গে ‘শিশুবক্তা’ ব্যবহার না করারও অনুরোধ জানান।#