দূরবীণ নিউহ ডেস্ক:
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে বিস্ফোরণের ঘটনায় পৌর মেয়র আব্দুস সালাম (৫৫) ও তার স্ত্রী কানন বেগমসহ (৪০) ১৩ জনকেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেশেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদেরমধ্যে মেয়রের স্ত্রী কানন বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, মুন্সীগঞ্জের ঘটনায় দগ্ধ ১২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, মিরকাদিম পৌর মেয়র আব্দুস সালাম (৫৫), তার স্ত্রী কানন বেগম (৪০), প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা (৪৫), মো.আওলাদ হোসেন (৪২), মো.মতাজুল ইসলাম (২৫), মো.মাইনুদ্দিন (৪৪), মোশারফ হোসেন (৪২), শ্যামল দাস (৪৫), পান্না মিয়া (৫০), কালু মিয়া (৪০), মো.ইদ্রিস আলী (৫০), মাে.সোহেল (৫২), দ্বীন ইসলাম (৪০)।
চিকিৎসকরা জানান, মেয়রের স্ত্রী কানন বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকি ১০ জনের শরীরের ৫ থেকে ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালামের বাড়িতে হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পৌরসভার সচিব ও কাউন্সিলরদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছিলেন মেয়র। হঠাৎ বিস্ফোরণে মেয়রসহ ১৫ জন আহত হন।
তবে কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো সুনিদিষ্টভাবে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে। কারণ বিস্ফোরণের সময় মেয়রের স্ত্রী রান্না করতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে হঠাৎ পৌর মেয়রের (আবদুস সালাম) বাড়িতে মানুষের চিৎকার শুনে আমরা সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে শুনলাম কারা নাকি মেয়রের বাড়িতে বোমা মেরেছে। এ কারণে বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব খান বলেন, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে বোমার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও বোমা বিশেষজ্ঞ দল ডাকা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।/