দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) চিহ্নিত ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালত আগামী ২৬ জুনের মধ্যে উচ্ছেদ করে ঢাকার জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ নির্দেশ দেন।
আজ হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন,গত বছর ১২ অক্টোবর বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে দখলকারীদের নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে আজ আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার ৪ নদীর অবৈধ দখল বন্ধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) দায়ের করা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলায় ২০০৯ সালে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ রায় দিয়ে নদীর সীমানা জরিপ দখলদারদের উচ্ছেদসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেন।
ওই রায়ের ভিত্তিতে জরিপের সময় হাজারীবাগ-কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ আদি চ্যানেল জরিপের বাইরে থাকায় এইচআরপিবির পক্ষ থেকে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ আদি চ্যানেলের জায়গা জরিপ করে দখলকারীদের চিহ্নিত করার আবেদন জানানো হয় ২০১৫ সালে।
শুনানি শেষে তখন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের বেঞ্চ আদি চ্যানেল সিএস/আরএস বিশেষ জরিপ টিম গঠন করে সীমানা নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় আদালত আজ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন। /