দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দেশের বহুল আলোচিত ঘটনা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার কিভাবে বিদেশে পালানোর তথ্য হাইকোর্টকে অবহিত করেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।
পি কে হালদারের ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় জারি সংক্রান্ত দুদকের চিঠি পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে আদালতে তথ্য দিয়েছে এসবির ইমিগ্রেশন শাখা।
সোমবার (১ মার্চ) এই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি জানান, প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে এসবির ইমিগ্রেশন শাখা থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে । পি কে হালদারের ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় জারি সংক্রান্ত দুদকের চিঠি পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পি কে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন পি কে হালদার।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিলেন পি কে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। তখন আদালত জানতে চান পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তিনি কিভাবে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে পি কে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
এদিকে পিকে হালদার এবং তার সহযোগী ও ৩৯ প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে দুদক। এসব টাকা পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত ছিল।
বিএফআইইউর সহযোগিতায় দুদক এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফ্রিজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে দুদক।/