দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দেশের বহুল আলোচিত অভিযুক্ত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কমিটি (বিআইএফসি), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও পিপলস লিজিং- এই ৩ প্রতিষ্ঠানের খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পুনর্গঠন করেছেন হাইকোর্ট।
এই ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাতসহ ভয়াবহ অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরকে ধ্বংসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তার দুর্নীতিও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
কমিটির সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। সদস্যসচিব করা হয়েছে উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেনকে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে এ আদেশ দেন। আদালতে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। তিনি জানান, এর আগে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে করতে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটির তালিকা দেয়া হয়। যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে প্রধান করা হয়েছে।
এদিকে বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ আজ আরও দুইজনকে কমিটিতে রাখতে নির্দেশ দেন। তারা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমান। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না হয় এ জন্য পরামর্শ দেবে কমিটি। তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনা খতিয়ে দেখবে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে কমিটি। এছাড়া কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেকোনো বিভাগ, কর্মকর্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।/