দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সংশ্লিষ্ট টেবিল থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের অবৈধ সম্পদের মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এই অনুমোদনের ফলে যে কোন দিন আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ফোয়াডিংসহ চার্জশিট দাখিল করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
জানা যায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন শফিকুল আলম ফিরোজ। তার বিরুদ্ধে সে সময় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। পরে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ‘শফিকুল আলম ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকার স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে আয়কর নথিতে তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এই সম্পদের পরিমাণ গোপন করেছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে। অন্য দিকে তার ওই সম্পদ অর্জনের কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস দেখাতে পারেননি দুদকের কাছে।’
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, শফিকুল আলম এক সময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন ‘
শফিকুল আলম ফিরোজের স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও পেয়েছে দুদক। সংস্থাটি বলছে, দেশে-বিদেশে শফিকুলের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের সময় সেগুলো আমলে নেয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন ব্যাংকে শফিকুল আলম ফিরোজের ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়।অআরওই টাকারও আয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস্য পায়নি দুদক।/