দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর ধানমন্ডি ওয়েল ফেয়ার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাদেক বলেছেন, ধানমন্ডি লেকের ভেতরে স্থাপিত ‘ আর রহমান জামে মসজিদটি ‘ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

গত ২রা ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) সকালে হঠাৎ বুলডোজার দিয়ে এই মসজিদটি ভেঙে ফেলায় প্রতিদিন লেকে ঘুরতে আসা শত শত দর্শনার্থীরা নামাজের সময় নামাজ আদায়ে মারাত্নক সমস্যায় পড়ছেন।

এদিকে আজ শুক্রবার ( ৫ ফেব্রুয়ারী) জুম্মার নামাজ শেষে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বেশ ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন মসজিদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মুত্তয়াল্লী,বিভিন্ন সংগঠন ও মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

ধানমন্ডি ওয়েল ফেয়ার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাদেক বলেন, ধানমন্ডি লেক এলাকার নকশাবহির্ভূত মসজিদটির স্থাপনা গত বছর ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় বাসিন্দা ও পার্কে আগত দশনার্থীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা মসজিদটি নির্মাণ করে দেন।

কিন্তু ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের নির্দেশে গত ২রা ফেব্রুয়ারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি এই মসজিদটি ভেঙে ফেলেন। এতে আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ও ধানমন্ডিস্থ এলাকাবাসী ব্যথিত হয়েছি এবং সিটি কর্পোরেশন একের পর এক মসজিদ ভাঙ্গার ইসলাম ধ্বংসের যে লীলাখেলায় নেমেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য সারা দেশে মসজিদ নির্মাণ করে চলেছেন। সেসব মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তর করা হচ্ছে।

বিশ্বে এই প্রথম কোনো সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে। সরকার যেখানে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করছে সেখানে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না করেই ডিএসসিসি একের পর এক মসজিদ ভেঙে চলছে। এর আগে গুলিস্থানের মুক্তাঙ্গণ পার্কে অবস্থিত মসজিদটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

ডিএসসিসি একের পর এক মসজিদে বুলডোজারের আঘাতে আমরা ব্যথিত। আমরা আহ্বান করবো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যেন তার এই কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকে। পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া মসজিদটি পুন:স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

তারা বলেন, ধানমন্ডি লেক এলাকার নকশাবহির্ভূত মসজিদটির স্থাপনা গত বছর ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় বাসিন্দা ও পার্কে আগত দশনার্থীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা মসজিদটি নির্মাণ করে দেন।

লেকের নকশায় না থাকার অযুহাতে মসজিদটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অথচ লেকের মধ্যে এমন অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে যেখানে মদ, জুয়াসহ নানা অসালীন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। শুধু মসজিদটি কেন ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।

ডিএসসিসির একের পর এক মসজিদ ভাঙ্গা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদ রাজপথে সরাসরি নামার কথা বলেন।/ প্রেস বিজ্ঞপ্তি।