দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
কুয়েতের আদালতে মানবপাচারের অভিযোগের মামলায় ৪ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত বাংলাদেশের কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য আগের জারি করা রুলের দ্রুত শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান পাপুলের প্রতিদ্বন্দ্বী সংসদ সদস্য প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভুইয়ার পক্ষে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান।
তিনি বলেন, রিট মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামীকাল রোববারের (৩১ জানুয়ারি) কার্যতালিকায় রয়েছে।
অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বলেন, রিটটি নিয়ে জারি করা রুলটি যাতে দ্রুত শুনানি হয় সে বিষয়ে আমরা আদালতে আবেদন জানাবো। রিট মামলার শুনানির সময়ে আমরা কুয়েতে পাপুলকে দেয়া সাজার রায়টি হাইকোর্টের নজরে আনার চেষ্টা করবো। যাতে সেটি শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
এর আগে নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন একই আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
ওই রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট শহীদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
অর্থপাচার ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গত ২৮ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাপুলকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।/