দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশের বহুল আলোচিত প্রতারক ও জালিয়াত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড) অর্থ আত্মসাতের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন ঢাকা মহানগর জজ আদালত।
দুদকের করা মামলার চার আসামি হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।
রোববার (৩ জানুয়ারি) আসামি মো.সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেন।
জানা যায়, গত ২৭ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি সময়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য,২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে করা মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ।
১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।/