দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রায় ২৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকার ঋণ জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং বিভিন্ন শাখার সংশ্লিষ্ট ২৩ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের ৩ কর্মকর্তা বাদী হয়ে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামির বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা ৩ মামলাতেই কমন আসামি হয়েনে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তার দেওয়া তথ্যমতে
দুদকের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২৩ আসামির বিরুদ্ধে ১৬০কোটি ৮০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে প্রথম মামলাটি ( মামলা নং-২১) দায়ের করেছেন ।
আসামিরা হলেন;
(১) এ.এন.এম. তায়েবুর রশিদ, (২) মোঃ লোকমান হোসেন সাবেক হেড অব ওবিও, এবি ব্যাংক লিঃ, চট্টগ্রাম বর্তমানে-ভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার, এবি ব্যাংক লিঃ, খাতুনগঞ্জ শাখা, (৩) মোঃ শাহজাহান, সাবেক এসএভিপি, ওবিও, ইপিজেড, এবি ব্যাংক লিঃ, চট্টগ্রাম বর্তমানে-ভিপি, এবি ব্যাংক লিঃ, রিকভারী ডিভিশন, চট্টগ্রাম।
(৪) মোঃ আরিফ নেওয়াজ, সাবেক পিও, ওবিও, ইপিজেড, এবি ব্যাংক লিঃ, চট্টগ্রাম বর্তমানে-এসপিও, এবি ব্যাংক লিঃ, স্টেশন রোড শাখা, চট্টগ্রাম;, (৫) কাজী আশিকুর রহমান, রহমান, এভিপি, বিজনেস ডিভিশন, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢ (৬) কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক ইভিপি, বিজনেস ডিভিশন, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, (৭) আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস, এবি ব্যাংক লিঃ,
(৮) সালমা আক্তার, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব সিআরএম এবং সদস্য ক্রেডিট কমিটি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত); (৯) মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট কমিটি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা (বর্তমানে- অবসরপ্রাপ্ত), (১০) শামীম আহমেদ চৌধুরী , সাবেক এমডি ও প্রেসিডেন্ট অব ক্রেডিট কমিটি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), (১১) এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
(১২) মোঃ এম এ আউয়াল, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, (১৩) ফাহিম উল হক, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা;, (১৪) ড. মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা;, (১৫) ফিরোজ আহমেদ, পিতা- মৃত সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা;, (১৬) সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ।
(১৭) শিশির রঞ্জন বোস, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; (১৮) বি বি সাহা রায়,সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; (১৯) মোঃ মেজবাউল হক, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; (২০) সাজ্জাদ হোসেন, ডিএমডি এন্ড হেডঅফ অপারেশনস, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; ঠিকানা: এপার্টমেন্ট ১ডি, ১৩/১০ বাবর রোড, ব্লক বি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা; বর্তমানে: বাসা- ৩০৮ (৪র্থ তলা), রোড-১, ব্লক- এফ, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা,
(২১) মোঃ শাহজাহান, সাবেক ইভিপি এন্ড হেড অফ আইসিসিডি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; (২২) মোঃ আমিনুর রহমান, ইভিপি এন্ড হেডঅফ আইসিসিডি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; এবং (২৩) সরফুদ্দিন আহমেদ, , সাবেক ইভিপি, এফআই, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা (বর্তমানে-অবসরপ্রাপ্ত)।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয়ে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক ঋণ গ্রহনের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদান করত: ঋণ প্রস্তাব প্রেরণ ও অনুমোদন করে ব্যাংকের ২০.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ (প্রতি মার্কিন ডলারের ৮০ টাকা হিসেবে) ১৬০কোটি ৮০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করে আত্মসাত করেছেন। তারা ওই অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে ২৩ আসামির বিরুদ্ধে ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে দ্বিতীয় মামলাটি ( মামলা নং-২২) দায়ের করেছেন ।
আসামিরা হলেন; ১.মোঃ লোকমান হোসেন, (২) মোঃ শাহজাহান, , (৩) মোঃ আরিফ নেওয়াজ, , (৪) মোঃ সালাহ উদ্দিন, , (৫) কাজী আশিকুর রহমান, (৬) কাজী নাসিম আহমেদ, (৭) আবু হেনা মোস্তফা কামাল, (৮) সালমা আক্তার, (৯) মশিউর রহমান চৌধুরী, (১০) শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক এমডি ও প্রেসিডেন্ট অব ক্রেডিট কমিটি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ।
(১১) এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, (১২) মোঃ এম এ আউয়াল, (১৩) ফাহিম উল হক, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লিঃ, (১৪) ফিরোজ আহমেদ, (১৫) সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, (১৬) শিশির রঞ্জন বোস , (১৭) বি বি সাহা রায় , (১৮) মোঃ মেজবাউল হক, (১৯) ড. মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, (২০) সাজ্জাদ হোসেন , ডিএমডি এন্ড হেডঅফ অপারেশনস, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয় , (২১) মোঃ শাহজাহান, সাবেক ইভিপি এন্ড হেড অফ আইসিসিডি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; (২২) মোঃ আমিনুর রহমান , ইভিপি এন্ড হেডঅফ আইসিসিডি, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; এবং (২৩) সরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক ইভিপি, এফআই, এবি ব্যাংক লিঃ,
মামলার অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয়ে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক ঋণ গ্রহণের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদান করত: ঋণ প্রস্তাব প্রেরণ ও অনুমোদন করে ব্যাংকের ৭.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান (প্রতি মার্কিন ডলারের ৮০ টাকা হিসেবে) ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করে আত্মসাত করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ওই অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে ২১ আসামির বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে দ্বিতীয় মামলাটি ( মামলা নং-২৩) দায়ের করেছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন; ১.মোঃ লোকমান হোসেন, (২) মোঃ আরিফ নেওয়াজ, , (৩) মোঃ সালাহ উদ্দিন, , (৪) পানেট চক্রবর্তী, পিতা: মৃত বাদল চক্রবর্তী, এভিপি, এবি ব্যাংক লি: (প্রাক্তন), ডিভিশন, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, (৬) আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস, এবি ব্যাংক লিঃ,।
(৭) সালমা আক্তার, (৮) মশিউর রহমান চৌধুরী, (৯) এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রধান কার্যালয়, (১০) মোঃ এম এ আউয়াল, (১১) ফাহিম উল হক, (১২) ফিরোজ আহমেদ, (১৩) সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, (১৪) শিশির রঞ্জন বোস, (১৫) বি বি সাহা রায়, , (১৬) মোঃ মেজবাউল হক , (১৭) জাকিয়া এস আর খান, (১৮) সাজ্জাদ হোসেন, (১৯) মোঃ শাহজাহান , (২০) মোঃ আমিনুর রহমান এবং (২১) সরফুদ্দিন আহমেদ।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক ঋণ গ্রহনের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদান করত: ঋণ প্রস্তাব প্রেরণ ও অনুমোদন করে ব্যাংকের ঋণের ১.৮৬ মার্কিন ডলারের সমপরিমান (প্রতি মার্কিন ডলারের ৮০ টাকা হিসেবে) মোট ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের মাধ্যমে আত্মসাত করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ওই পরিমাণ অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৪ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তিন মামলায় আত্মসাত : ২৩৬ কোটি ৮ লাখ। #