দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর বহুল আলোচিত মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে র্যাব হেফাজতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে টিকাটুলিতে র্যাবের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাতে বাড্ডায় মনিরের বাসা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে র্যাব। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে অভিযান শেষে কর্মকর্তারা অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।
র্যাবের কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘টিকাটুলিতে মনিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে, সেসবের পাশাপাশি আরও তথ্য জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার অভিযোগে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে র্যাব। বাড্ডা থানায় এসব মামলা করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, গোল্ডেন মনিরের বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধান ও পর্যালোচনা করা হয়েছে। তিনি হুন্ডি ব্যবসায়ী ও সোনা পাচারকারী। এসব কারবার করে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মনির। এসব টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে জমা রাখা হয়েছে।
ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট আছে তার। দুটি বিলাসবহুল গাড়িও পাওয়া গেছে। জমির দালালি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে মনিরের বিরুদ্ধে। জাল দলিল তৈরি করে অনেক জমি দখল করেছেন তিনি। জমি দখলের জন্য অনেককে ভয় দেখিয়েছেন মনির। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছেন। #