দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মোবাইর কোর্ট আজ বুধবার ধানমন্ডি লেক ও ডেমরার বামৈল এলাকায় ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অঞ্চল-১ এর ১৫নং ওয়ার্ডের আওতাধীন ধানমন্ডি লেক ও লেক সংলগ্ন এলাকা থেকে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
ওই সময় লেক সংলগ্ন ওয়াকওয়ের পাশে অবস্থিত সমস্ত হোটেল ও দোকানের লেকমুখী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। লেক সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ দোকান-পাট রেখে ব্যবসা পরিচালনা করায় ২০টির অধিক দোকান ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
মোবাইল কোর্ট একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া আদালত ধানমন্ডির ৮ নং ব্রীজের কাছে মানুষের চলাচলের রাস্তায় থাকা পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করেন।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ধানমন্ডি লেকে মানুষের প্রতিদিনকার শহুরে জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে এবং শারীরিক কসরতেে ধানমন্ডি লেক পাড় ব্যবহার করেন। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু চক্র সেই জায়গায় নানা রকম অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। আজ আমরা সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি।
এদিকে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ নগরীর ১৫ নম্বর ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাজী ফয়সালের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৩১ স্থাপনা পরিদর্শনকালে একটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলা দায়ের ও নগদ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজ বুধবার ডিএসএসসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের বামৈল বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৪৫টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে তিনটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলা দায়ের ও নগদ ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোঃ ফয়সাল ও ফেরদৌস ওয়াহিদ উভয়েই দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ নং ধারা অনুযায়ী উক্ত ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। তিনটি মোবাইল কোর্ট ৫১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।