দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর কোন বিধান রাখা হয়নি,কেউ প্রতিনিধি পাঠালে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর ) বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন ও যানজট নিরসনে ‘bus Route Rationalisation’ কমিটির সভার শুরুতে ডিএসসিসি মেয়র এই মন্তব্য করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে এ সভায় ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ নূর আলম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ মজুমদার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, উভয় সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, জনগণের স্বপ্ন বাস রুট রেশনালাইজেশনে ঢাকার দুই মেয়র একত্রে কাজ করবো এই নিশ্চয়তা আজকে দেওয়া যায়।
ডিএসসিসি মেয়র উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১২ সদস্যবিশিষ্ট বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি করা হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনে যাদের নাম দেওয়া আছে বা যে পদের বিপরীতে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, এই বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে তাদেরকেই আসতে হবে।
কারণ, প্রজ্ঞাপনে কোনো প্রতিনিধি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি প্রেরণের বিধান রাখা হয়নি। এখন থেকে কেউ প্রতিনিধি পাঠালে আমরা ধরে নেবো তিনি অনুপস্থিত। প্রতিনিধিকে উপস্থিতি হিসেবে আমরা দেখাবো না।
কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে যানজট নিরসনে অচিরেই বাস কোম্পানি রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি হবে বলে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বলা যায় প্রায় শুন্য হতে আমাদেরকে শুরু করতে হচ্ছে।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গণমাধ্যমকে বলেন, আবারও নতুন করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাস রুট রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিবেদন আমরা হাতে পেলে আগামী সভা থেকে কাজ শুরু করবো। প্রতিবেদন হাতে পেলে এই কার্যক্রম আমরা বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে পরিণত করতে পারবো। তবে আমরা দুই মেয়র ইনশাআল্লাহ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, ভবিষ্যতে অগ্রগতি হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আপনারা দেখেছেন এর আগেও সময়সীমার দিয়ে সেটা রক্ষা করা যায়নি। সুতরাং কোন সময় সীমা না দিয়ে এটা বলতে পারি, আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেছি। সেই নিষ্ঠার প্রতিফলন আপনারা পাবেন।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শতকরা ৬৩ ভাগ মানুষ বাসে চলাচল করে। দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আলোচনা করেছি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যে চেষ্টা করেছিলেন সেই চেষ্টার ধারাবাহিকতায় আমরা এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছি। এটার একটা রুপ অচিরেই দেখা যাবে। জনগণের স্বপ্ন বাস রুট রেশনালাইজেশনে দুই মেয়র একত্রে কাজ করবো এই নিশ্চয়তা আজকে দিতে পারি। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।