দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
১৪দিনের রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাকে অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের করা পৃথক দুই মামলায় ১৪দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ অক্টোবর) ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে আসামি আবদুল মালেককে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।আদালত তার আবেদন গ্রহণ করেন।
এদিকে আসামির আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানার করা পৃথক দুই মামলায় তার সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
অপরদিকে তার আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন। চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতিতেও ছিল তার হাত। নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতিতে তদবিরের নামে আদায় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার বদৌলতে অল্প দিনেই শতকোটি টাকারও বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হন এই মালেক ড্রাইভার।#