দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
তিন দিনের টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৮টি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে মানুষের বসত বাড়ি ও পুকুরের মাছ, নষ্ট হয়েছে পাকা আউশ ধান।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়ায় উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, সোনাদিয়া, তমরদ্দি, সূখচর, চরঈশ্বর, নলচিরা, হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, এবছর বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের পরবর্তী সময়ে জোয়ারের পানিতে এলাকাগুলো সহজে প্লাবিত হয়। এছাড়া নতুন করে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা ও তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসময় জোয়ারের স্রোতে প্রায় ৫০টি পরিবারের বসত ঘর ভেসে যায়। অনেকেরই বেড়ির উপরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে দেখা যায়।
এদিকে আমফানের পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় সূখচর ইউনিয়নের চরআমান উল্যা, বৌ বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, নলচিরা ইউনিয়নের তুপানিয়া, নলচিরা ঘাট এলাকা, চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুদার গ্রাম, ফরাজী গ্রাম, মাইচচা মার্কেট এলাকা প্লাবিত হয়।
চরইশ্বর ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকাল বিকাল দুইবেলা ঢুকতে থাকে জোয়ারের পানি। জোয়ারের পানিতে অনেকের বসতবাড়ি ডুবে যায়, পুকুরের মাছ ভেসে যায়। অনেকে বসত হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। নলচিরা ঘাটের প্রায় ২০টি দোকান ঘরে পানি ডুকে মালামাল নষ্ট হয় এবং ৫টি দোকান স্রোতের টানে জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়।
নিঝুম দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় চারদিক থেকে জোয়ারের পানি উঠে ৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে নিঝুম দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা। এতে ঘেরের মাছ ভেসে যায় আবাধি ফসলের অনেক ক্ষতি ছাড়া ও বনের মধ্যে বসবাস করা হরিণের দল লোকালয়ে চলে এসেছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে। # কাশেম