দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদুল আযহার কোরবানিকে সামনে রেখে সীমান্ত পথে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ঔষধ চোরাইপথে আসা বন্ধকরণের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ।
আর এ আলোকে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানায়।
আরো জানানো হয়, গত ৯ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উক্ত মন্ত্রণালয়ে ‘কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ’ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গতকাল (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরিত এক চিঠিতে সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ এবং জাল টাকা রোধসহ গবাদিপশুর কৃত্রিম সংকট তৈরী বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাকদের নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগে প্রেরিত অপর এক চিঠিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় দেশের বাইরে থেকে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের লক্ষ্যে বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশকে যৌথভাবে কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগে প্রেরিত আরেকটি চিঠিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ঔষধ চোরাইপথে আসা বন্ধকরণে বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একই চিঠিতে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চতকরণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ, হাটের বাইরে এবং অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ইজারা সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ, চাঁদাবাজি বন্ধ করে গবাদিপশুর নির্বিঘ্ন পরিবহন নিশ্চিতকরণ, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপতৎপরতা রোধ, রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর চলাচল বন্ধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর স্থাপিত চেক পোস্টে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক সহায়তা দেয়ার নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।