সর্বশেষঃ
দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী রেখাকে চুলের মুঠি ধরে চড়, যুবক আটক সাবেক আইনমন্ত্রীর এপিএস রাশেদুলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা ডাকসু নির্বাচন: তন্বীর সম্মানে একটি পদ ফাঁকা রেখেছে ছাত্রদল মধ্যপ্রাচ্যে আটকে না থেকে ইউরোপ-জাপানে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় জোর: আসিফ নজরুল দুর্নীতির দায়ে দুদকের দুই উপ-পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত চাঁদা না পেয়ে দলবল নিয়ে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি ভুটানকে হারিয়ে সাফে স্বপ্নযাত্রা শুরু বাংলাদেশের প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মাইলস্টোন স্কুলের তিন শিক্ষক মানবতা-সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ন

ঢাকা দক্ষিণে মেয়রের নির্দেশ . কোরবানী পশুর হাটের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার , ১৪টির মধ্যে ১০টির পুনরায় টেন্ডার

আবুল কাশেম, দূরবীণ নিউজ :
এবারও সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধিকাংশ অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাট। কিন্তু মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের নির্দেশ এই সিন্ডিককেট ভেঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। যে কোনো  উপায়ে এই সিন্ডেকেট থেকে ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

অভিযোগ উঠছে, গত ৩ বছর ডিএসসিসিতে   রাজনৈতিক পরিচয় বহনকারী চিহ্নিত শক্তিশালী সিন্ডিকেট নানা কৌশলে কোরবানী পশুর ১৪টি হাটের উজারা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কয়েক  কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা এবারও ওই পুরনো কায়দায় কোরবানীর হাটের ইজারা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আরো কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছেন।

সরেজমিন খোজঁ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জুন প্রকাশ্যে ডিএসসিসির ১৪ টি কোরবানী পশুর হাটের ইজারার দরপত্র খোলা হয়। ওই দিন মাত্র ৪টি হাটের দরপত্র নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি এবং কাঙ্খিত হওয়ায় মেয়রের নির্দেশে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি সেগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে। বাকী ১০টি কোরবানী হাট ইজারার জন্য পুনরায় দরপত্র আহবান করা হয়েছে।

সিন্ডিকের কারণে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাকি ১০টি হাটের দরপত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৯ জুনের ইজারায় ৩টি হাটের কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। একটি হাটের নির্ধারিত মূল্যের অনেক কম মূল্যের দরপত্র জমা পড়েছে। আর অপর ৬টি হাটের দরপত্র নির্ধারিত মূল্যের সামান্য বাড়িয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। যারফলে এই ৬টি হাটের দরপত্র টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি অনুমোদন করেনি।

জানা যায়, মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের নির্দেশে দ্বিতীয় দফায় ১০টি হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৮ জুলাই সিডিউল বিক্রির শেষ সময় এবং ৯ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২ টায় জমা দেওয়ার শেষ সময়। ওইদিন দুপুর আড়াই টায় দরপত্রের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে দরপত্র খোলার কথা রয়েছে ।

আরো জানা যায়, এরপরও কোরবানী পশুর ওই ১০টি হাটের ইজারায় কাঙ্খিত দর পাওয়া না গেলে, তৃতীয় দফা ১৯ জুলাই কোরবানী হাটের সিডিউল বিক্রি ও দরপত্র জমা নেয়া হবে । ২০ জুলাই দরপত্র খোলার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এরপরও কোনো হাটের দরপত্রে কাঙ্খিত মূল্য পাওয়া না গেলে ওই হাট বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে আরো কঠিার পদক্ষেপ নিতে পারেন মেয়র।

                   ২৯ জুনের ইজারায় সর্বোচ্চ দর দাতা এবং প্রাপ্ত দর নিম্মে উল্লেখ করা হলো;

১. উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালি জায়গা -সর্বোচ্চ দরদাতা , মোস্তফা কামাল (সরকারি দর ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকা) প্রাপ্ত দর ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
২. হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা -সর্বোচ্চ দরদাতা , ইযাফেজ আহমেদ (সরকারি দর ১ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার টাকা) , প্রাপ্ত দর ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৫ টাকা।

৩. পো্স্তগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা-সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারাদার, মে. মইন উদ্দিন চিশতী (সরকারি দর ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা) প্রাপ্ত দর ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

৪. গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা – সর্বোচ্চ দরদাতা ,আমের খান (সরকারি দর ৮৭ লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ টাকা) প্রাপ্ত দর ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

উপরের এই ৪টি হাটের দরপত্র নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি এবং কাঙ্খিত হওয়ায় মেয়রের নির্দেশে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি সেগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে।

  বাকি ১০টি হাটের চিত্র:
৫. কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা- সর্বোচ্চ দরদাতা , হাজী মো. আবুল হোসেন সরকার (সরকারি দর ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা), প্রাপ্ত দর ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।

৬. শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা হাটের (সরকারি দর ১ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা) তবে এই হাটের কোন দরপত্র জমা হয়ানি।

৭. মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা – সর্বোচ্চ দরদাতা , ময়েন উদ্দিন মিলন (সরকারি দর ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা), প্রাপ্ত দর ৯০ লাখ ৩ হাজার টাকা।

৮. আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা -সর্বোচ্চ দরদাতা, অশিকুর রহমান (সরকারি দর ১ কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা) প্রাপ্ত দর ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

৯. যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা (সরকারি দর ১ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা),তবে এই হাটের কোন দরপত্র জমা হয়ানি।

১০. ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা (সরকারি দর ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা) ,তবে এই হাটের কোন দরপত্র জমা হয়ানি।

১১. সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক-স্ট্যান্ড এলাকা- সর্বোচ্চ দরদাতা, আসাদুজ্জামান খান (সরকারি দর ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮০৭ টাকা), প্রাপ্ত দর ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৭ টাকা।

১২. আফতাব নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি,এইচ এবং সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গা -সর্বোচ্চ দরদাতা, মো. রায়হান (সরকারি দর ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা), প্রাপ্ত দর ৬৭ লাখ টাকা।

১৩. আশুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা- সর্বোচ্চ দরদাতা, মো. আহসান উল্লাহ (সরকারি দর ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা), প্রাপ্ত দর ১৫ লাখ ৩ টাকা।

১৪. লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা – সর্বোচ্চ দরদাতা, সফি মাহমুদ (সরকারি দর ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা), প্রাপ্ত দর ১২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা।

আরো জানা যায়, গত ৩ বছর এই ১৪টি হাটের ইজারাবাবদ কত টাকা ডিএসসিসির ফান্ড জমা হয়েছে। তার সঠিক হিসেব ও তথ্য নথিতে সংরক্ষণ করা নেই বলে জানান সম্পত্তি বিভাগের একজন সহকারী সম্পত্তি কর্মকর্তা। শুধু কোরবানীর হাট নয়, কাঁচাবাজার, কারপাকিং এবং অকশন যোগ্য  পুরনো মালামাল বিক্রি সংক্রান্ত নথিপত্রও অগোছালো। ডিএসসিসির স্বার্থে দ্রুত এসব নথিপত্র তদন্তরে দাবি উঠেছে।

কারণ ডিএসসিসির রক্ষকরাই আজ ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। শত শত কোটি টাকার জায়গা সম্পত্তি রক্ষা করা ও উদ্ধারের পরিবর্তে প্রি স্টাইলে চলছে বছরের পর বছর লোপাট । এভাবে আর কত দিন চলবে এমন প্রশ্ন উঠেছে ডিএসসিসির সাধারণ কর্মচারীদের মাঝে। সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন যাবৎ জবাব দিহিতার কোনো বালাই নেই। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12