দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করোপরেশনের ( ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেছেন, এখন থেকে রাস্তায় ও উন্মুক্ত স্থানে আর কোনো ময়লা আর্বজনা ফেলে রাখা বরদাশত করা হবে না। ঢাকা দক্ষিণে রাস্তায়-উন্মুক্ত স্থানে কোন বর্জ্য পড়ে থাকবে না।
তিনি বলেন,প্রত্যেক ওয়ার্ড যে ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্য থাকবে, সংগ্রহকারীরা এখন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বাসা-বাড়ি-গৃহস্থালী থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করবে। ১০টার (রাত) মধ্যে সকল বর্জ্য এই অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) চলে আসবে এবং রাত ১০ টা থেকে এসব এসটিএস থেকে ময়লা-আবর্জনা আমরা মাতুয়াইলের ভাগাড়ে নিয়ে যাব।
বুধবার (২৪ জুন) সকালে নগরীর ২৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইসলামবাগে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি (পিআরও) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবু নাছের গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, এ সময় ডিএসসিসি মেয়র জানান যে,আমরা এরই মাঝে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়েছি। এখন থেকে যে ওয়ার্ডগুলোতে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নেই সেই ওয়ার্ডগুলোতেও আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করব।বুধবার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা এসটিএস নির্মাণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। ডিএসসিসি’র ৭৫ টা ওয়ার্ডে আমরা একটি করে এসটিএস নির্মাণ করব।
এসময় মেয়র তাপস আরো জানান যে, রাত ৯ টা থেকে পরিচ্ছন্ন-কর্মীরা রাস্তাঘাট ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করবে, পানি ছিটিয়ে দেবে এবং ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা শহর হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন-ফকফকা।
পরে ডিএসসিসি মেয়র মালিবাগে (১২ নম্বর ওয়ার্ড) নির্মিতব্য এসটিএস পরিদর্শন করেন এবং নগর ভবন সংলগ্ন সামনের রাস্তা, বঙ্গবাজার, আনন্দবাজার এবং নগর ভবনের পেছনে ফুলবাড়িয়া বাস স্টপ-ওভার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ও বিদ্যমান সমস্যা ও সংকট চিহ্নিত করে এই রাস্তাগুলোকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সিটি কর্পোরেশনের সিইও শাহ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোঃ বদরুল আমিন এবং ২৩, ২৯, ৫৬,১২ ও ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।