দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে মানবিক কারণেই ৩০ জুনের মধ্যে বিদ্যুত ও গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে আবাসিক বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের সরকারি হুমকী থেকে সরে আশার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বুধবার (১৭ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে বকেয়া বিলের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি অত্যন্ত অমানবিক ও নিষ্ঠুরতা। করোনা দুর্যোগের মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষনা দিয়ে সরকারের জ্বালানি, খনিজ ও বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী গণবিরোধী অবস্থান গ্রহন করেছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জুন পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাস বিলের জরিমানা মওকুফের ঘোষনা দিয়েছিলো। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখান আরো তীব্র হয়েছে। সাধারণ মানুষের আয় রোজগার বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যুত-গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘোষনা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
সরকারের উচিৎ করোনাকালীন সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, পানি, বিদ্যুত, জ্বালানি গ্যাসের বিল মওকুফ করা। কিন্তু তা না করে বিদ্যুত-গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নের গণবিরোধী ঘোষনা জনগণ কেনাভাবেই মেনে নিতে পারে না।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বকেয়া বিদ্যুত ও গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধে সরকারি হুমকির ফলে বাড়ির মালিকরাও ভাড়াটিয়াদের উপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে। বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়াদের মধ্যে কোথাও কোথাও সংঘাতও সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে সমাজে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে, যা সমাজে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করবে।
তারা করোনাকালীন সময়ের বকেয়া বিল জুন মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে আবাসিক বিদ্যুত, গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিনের নোটিশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবী জানান এবং করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সকল গ্রাহকের বিগত ৩ মাস এবং আরো আগামী ৩ মাসের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল মওকুফের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।
হিরামনি হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবি ন্যাপ’র
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া লক্ষিপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে গত শুক্রবার (১২ জুন) নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার কন্যা হিরামনিকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে পৈশাচিক এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা বলেন, মহামারি করোনাকালে এমন বর্বর ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হিরামনির বাবা হারুন অর রশিদ ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। হিরামনির মা ও ছোট দুই ভাইবোন বাবা-মার সঙ্গে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আছে। এমন পরিস্থিতিতে হিরামনি হত্যার ঘটনা, মত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া তার বাবা এবং পরিবারের জন্য যেমন অসহনীয় তেমনি এই সমাজের জন্যও লজ্জাজনক।
তদন্তের পর হিরামনি হত্যায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয়। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।