দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রাণঘাতি করোনার ভয়াবহতা প্রতিরোধ ও নগরবাসীকে রক্ষায় নতুন করে কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে প্রশাসন। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ ও নির্দেশনা পেলেই রোববার (১৪ জুন) নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পাশাপাশি ‘রেড জোনে শক্ত লকডাউন’ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে রেড জোন চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসন লকডাউনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারেন বলে জানা যায়। রেড জোনে ছুটি বাড়ানো হতে পারে। বাকি এলাকায় সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। রেড জোন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জোনিং করে লকডাউন, এটা খুবই একটা কার্যকর ব্যবস্থা বলে আমরা মনে করছি। একই সঙ্গে চার-পাঁচটি স্থান রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হতে পারে। পরীক্ষামূলক লকডাউন চলছে রাজাবাজারে। সেখানকার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোকে সংশোধন করা হবে। একটি স্থানকে শুধু লকডাউন করলেই চলবে না। সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য আমাদের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে, এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’
ফরহাদ হোসেন জানান, দেশের বিদ্যমান সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে জেলাগুলোয় কোনও এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই লকডাউন করতে হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকার বাইরে যে এলাকায় প্রতি লাখে ১০ জন বা এর বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী থাকবে সেখানেই রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে রোগীর অবস্থান করা জায়গা বা এলাকা চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
কোন এলাকায় লকডাউন করা হবে তা আগে থেকে বলা হলে তো লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাবে। রেড জোনে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। যাদের খাবার প্রয়োজন তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, ১৫ জুনের পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো নির্দেশনাসহ অফিস এবং গণপরিবহন খোলা থাকবে, সেজন্য একটি অর্ডার জারি করা হবে। রবিবারই (১৪ জুন) সে আদেশ জারি করা হবে। # কাশেম