দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর সিভিল এভিয়েশনের কবরস্থান এলাকায় (লা মেরিডিয়ান হোটেলের বিপরীত পাশে) কসাইবাড়ি-আশকোনা-কাঊলা- বনরূপা হাউজিং এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এডি-৮ খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
শনিবার ( ৩০ মে) দুপুর ১২টায় ডিএনসিসির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এডি-৮ খাল খনন উদ্বোধন করেন। খাল খনন উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরিফ উদ্দীন, অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডি এম শামীম সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, খালটির খনন শেষ হলে আশকোনা হজ ক্যাম্পের পাশ থেকে শুরু করে বনরূপা হাউজিং পর্যন্ত ১.৮ কিমি দীর্ঘ খালের বিভিন্ন জায়গায় পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। একই সাথে কসাইবাড়ি, আশকোনা, কাঊলা, বনরূপা হাউজিং এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে।
মেয়র বলেন, “আপনারা জানেন আশকোনা, প্রেমবাগান, হজ ক্যাম্পের সামনে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এজন্য এলাকার জনগণ আমাদেরকে দায়ী করছেন। ঢাকার এ অংশটি টোটাল আনপ্ল্যান্ড, যার-যার মতো করে বাসাবাড়ি, হাউজিং ইত্যাদি করে নিয়েছে। কিন্তু কোন দিক দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে সে চিন্তা করেনি।
তিনি বলেন, আলটিমেটলি জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। হাউজিং কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সিটি করছে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, কিন্তু পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো সিটি কাজ করেনি। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব কীভাবে করা যায় সে চিন্তা তারা করেনি”।
মেয়র বলেন, “এ খালটি সিভিল এভিয়েশনের। আমরা সিভিল এভিয়েশনকে অনেক রিকোয়েস্ট করেছি। অনেকবার বলেছি। কিন্তু বৃষ্টিতো আর কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এই ১.৮ কিমি খাল খনন করে দেওয়ার জন্য সিভিল এভিয়েশনকে বারবার অনুরোধ করেছি। তারা বলছে আমরা করতে পারবোনা, আপনারা করে দিন”।
মেয়র বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, জায়গা সিভিল এভিয়েশনের, খাল সিভিল এভিয়েশনের, অথচ কাজ করে দিতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে!”
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, “ওয়াসা ড্রেন ঠিক মতো পরিষ্কার না করার কারণে মগবাজারের সাসাতবাড়ি, মধুবাগ এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ জনগণ বারবার সিটি কর্পোরেশনকেই ধরছে”।
ওয়াসা ও সিভিল এভিয়েশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা দায়িত্ব নিন, অথবা আমাদেরকে ফান্ড দিন, আমরা কাজ করতে চাই। আপনারা দায়িত্ব নিবেন না, টাকা আপনাদের কাছে রেখে দিবেন। এটা হয় না। গত তিনমাস ধরে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় বন্ধ রয়েছে।
এ ধরনের কাজ করতে গেলে প্রচুর টাকা লাগে। তারপরও আমরা অপেক্ষা করিনি। এই ১.৮ কিমি খাল আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়েই খনন করতে শুরু করেছি। আমরা এলাকার জনগণের সাপোর্ট চাই। আমরা মনে করি আমাদেরকে জনগণের পাশে দাড়াতে হবে। আমরা জনগণের কষ্ট লাঘব করবো”। মেয়র সিভিল এভিয়েশন ও ওয়াসাকে নিজ-নিজ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করার আহবান জানান। # কাশেম