দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
করোনা মহাবিপর্যয়ের মধ্যে লকডাউন শিথিল করার সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেশে ভয়ংকর অবস্থা সৃষ্ঠি হচ্ছে। তৈরি করেছে। ফলে দেশে করোনার থাবা ক্রমশ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ‘কারফিউ ছাড়া শেষ রক্ষা হবে না’ বলে মত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বুধবার (২০ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মত প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, করোনার সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী ও নিয়ন্ত্রনহীন। সরকার করোনা মোকাবিলায় সবদিক থেকে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা অপ্রতুল। ৯০ ভাগ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। হাসাপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদে ফেলে দিয়েছে সরকার। এখন তারা রোগীদের চিকিৎসা দিতে ভয় পাচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, অন্যদিকে দেশের জনগন লকডাউন শিথিলতার সুযোগ নিয়ে রাস্তায় ভির করছে, শহর ত্যাগ করছে পঙ্গপালের মত। যার ফলশ্রুততে করোনা নামক এ মরনব্যাধি গ্রাম-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। যার কারনে পুরো দেশই মৃত্যুপুরিতে পরিনত হবার আশঙ্কা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের জনগণকে ঘরে থাকতে বাধ্য করার জন্য কারফিউ বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশে কারফিউ বা জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সরকারের কোন বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। অবহেলা করলে দেশের বিশাল ক্ষতি সাধিত হবে। দেশবাসীকে রক্ষা করতে কারফিউ বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা এখন সময়ের দাবি।
নেতৃদ্বয় বলেন, গত দুই মাসে বার বার এই আহ্বান জানানো হলেও কারো কর্ণকুহুরে তা প্রবেশ করেছে বলে মনে হয় না। এটা কারো বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য ছিল না। এখন অর্থবিত্ত, ঈদ বাজার, গ্রামে পরিবারের নিকট ফিরে যাওয়ার চাইতে জীবন বাঁচানোই গুরুত্বপূর্ণ। বেঁচে থাকলে এই সকল সঙ্কটেরই অবসান হবে ইনশাআল্লাহ।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, সমগ্র জাতির প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ সরকারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হওয়া উচিত হবে না। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। দয়া করে অতি জরুরি না হলে নিজ ঘর থেকে বের হবেন না এবং পরিবারের কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেবেন না।
তারা বলেন, কিন্তু, দু:খের আর হতাশার বিষয় হচ্ছে জনগণ এখনও অবাধে চলাচল অব্যাহত রেখেছে। যা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেবার জন্য সাহায্য করছে। নিজে সুস্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ থাকার জন্য সাহায্য করুন। আপনার সামান্য অবহেলা অন্যের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যা একজন মানুষের জন্য কাম্য নয়। সকল প্রকার অনাচার-অত্যাচার, অবিচার, নগ্নতা, অসমাজিক কার্যকালাপ থেকে বিরত থাকুন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।