দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সরাকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ত্রাণের চালসহ খাদ্য সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
রোববার (১০ মে) গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি আরো জানান,
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইলের উপসহকারী পরিচালক রাজু মোঃ সারোয়ার হোসেন একই কার্যালয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আর এই মামলায় টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার যাদবপুর ইউপি সদস্য মোঃ মিনহাজ উদ্দীনকে আসসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রকৃত কার্ডধারী ব্যক্তিদেরকে কার্ড সরবরাহ করেনি। এমনকি অসৎ অভিপ্রায়ে কার্ডগুলো নিজের কাছে রেখে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল (অদ্যাবধি) পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১০ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্যক্রমের ৫১০ কেজি চাল উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/ ৪২০ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক কর্মকর্তা জানান, ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ বাদী হয়ে এই কার্যালয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার আরশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামসুদ্দোহা ওরফে ডাঃরতন ও একই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করা হয়েছে।
আর মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের উপকারভোগী কার্ডধারী মৎস্যজীবীদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভিজিএফ’র চাল বিতরণে আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি ১০৫০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন।
অপরদিকে দুদক সজেকা ফরিদপুরের উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাশ বাদী হয়ে একই কার্যালয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল ফকিরকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয় , আসামি প্রতারণামূলকভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সাল থেকে ” হতদরিদ্র খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির” আওতায় প্রদত্ত কার্ড নিজ ওয়ার্ডে যথাযথভাবে বিতরণ না করে অপরাধজনক বিশ্বসভঙ্গ করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার মানসে প্রতারণাপূর্বক জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া উপকারভোগীর নাম,ঠিকানা ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে সরকার অনুমোদিত ১০,২৬০ (দশ হাজার দুইশত ষাট) কেজি সরকারি চাল আত্মসাৎ করেন। তিনটি মামলায়ই তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। # কাশেম