সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঢাকায় ফিরছেন হাজার হাজার শ্রমিক- কর্মচারী। কারণ রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে কিছু কিছু তৈরি পোশাক কারখানা খুলছে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) ছুটি শেষ হওয়ায় গত দু’দিন ধরে কর্মস্থলে যোগ দিতে ফিরছেন পোশাককর্মীরা। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ফিরতে নারাজ। তাই অনেক কারখানা বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা বলে কর্মস্থলে আনছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে করোনার ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা বা আশপাশের কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা।

আজ শনিবার দুপুরে নাটোর থেকে একদল শ্রমিক ট্রাকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। করোনার এই প্রাদুর্ভাবের সময় একজন থেকে আরেকজন কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নির্দেশনা দেয়া হলেও এসব শ্রমিক গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ফিরছেন কর্মস্থলে। তাদের বহন করা ট্রাককে নাটোর সদর উপজেলার এ্যাসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান আটকিয়ে দিলেও পরে ছেড়ে দেন।

জানা যায়, রোববার থেকে কারখানা খুলছে। এজন্য শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার তাগাদা দিচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। হাজির না হলে বেতন কাটা যাবে। কারো কারো মালিক চাকরিচ্যুতিরও হুমকি দিয়েছেন। সে কারণে করোনার ভয় নিয়েই কষ্ট করে ঢাকায় ফিরছেন তারা।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাক বা মালবাহী যেকোনো গাড়িতে করে ঢাকায় ফিরছেন তারা। অনেকে আবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে অর্থাৎ একই গাড়িতে না এসে কিছু দূর এক গাড়িতে এসে, তারপর আরেক গাড়িতে-এভাবে ঢাকায় পৌঁছছেন। অনেকে আবার পায়ে হেঁটে বা রিক্সা ভ্যানে করেও ফিরছেন কর্মস্থলে।

পোশাক কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক জানান, একটি টি-শার্ট তৈরি করতে ২৫-৩০ জন শ্রমিকের হাতের ছোঁয়া লাগে। একজন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এদের সবাই আক্রান্ত হবেন। এরপর আশপাশের লোকেরাও আক্রান্ত হবে। পোশাক কারখানায় এখন অবশ্যই ছুটি থাকা উচিত। কিন্তু, তা তো হচ্ছে না। আমাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে তাড়া দেয়া হচ্ছে।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা গার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত মালিকদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন। দেশে প্রায় ১১ শ’ কারখানায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্ডার বাতিল হয়েছে। তারা বলছেন, কারখানা খোলা রাখা বা বন্ধের বিষয়ে সরকারের বাধ্যবাধকতা নেই।

কারখানাগুলোতে বিদেশি ক্রেতাদের ক্রয়াদেশে পোশাক তৈরি হচ্ছে। কিছু কারখানায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও মাস্ক তৈরির অর্ডার পাওয়া গেছে। এই অর্ডার হাতছাড়া হলে বড় বিপর্যয় তৈরি হবে এই সেক্টরে।

বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক জানান, আমরা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলাম। এর পর থেকে কারখানাগুলো চালু হবে। কারখানা পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের রক্ষা করার জন্য সব স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

শ্রমিকের সব দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মালিকের থাকবে। কারখানা চালু রাখা বা বন্ধ রাখা যেকোনো অবস্থাতেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কেউ চাইলে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। পিপিই ও মাস্ক বানাতে কারখানাগুলো খোলা থাকবে। পাশাপাশি খোলা রাখা কারখানাগুলোতে শ্রমিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা নতুন করে ছুটির সময় বাড়াব না। যাদের কাজ আছে, তারা কারখানা খুলবে। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে কলকারখানা চলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু ক্রেতা এখনো তাদের সাথে কাজ করতে চান। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানায় পিপিই ও অন্য সুরক্ষা পণ্যের রফতানি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। করোনাসংক্রান্ত কিছু উপকরণের বিশ্ববাজারে চাহিদা তৈরি হয়েছে। এসব চাহিদা কাজে লাগানোর জন্য কারখানা খোলার বিষয়টি আসছে- যোগ করেন মোহাম্মদ হাতেম।

বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, আজ শনিবারের পর থেকে কেউ কারখানাটি পরিচালনা করবেন কি না তা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কারখানা পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের রক্ষা করার জন্য সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি নিশ্চিত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখা যাবে। করোনার এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নতুন পণ্যর চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই চাহিদা অনুসারে নতুন পণ্য তৈরি করে রফতানি করতে হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সুযোগ আসছে। এসব সুবিধা যেন ব্যবসায়ীরা কাজে লাগান। তবে কাজ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এ বিষয়ে পোশাক শ্রমিকদের ১১টি সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়কারী মাহবুবুর রহমান ইসমাঈল বলেন, আমরা বার বার বলে এসেছি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য। কিন্তু নানা অজুহাতে সারাদেশে অচলাবস্থার মধ্যেও মালিকপক্ষের অনেকেই কারখানা চালু রেখেছেন। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12