দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৩ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে। মৃত ২০১ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন এবং ৮২ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।
এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৪৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪২৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭ হাজার ১৪৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, বরিশাল বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে নয়জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪ হাজার ৬৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৩ হাজার ৭০৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৭ হাজা ৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।