দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
বাজার মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের মামলায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৪ চিকিৎসক এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৬ মার্চ) দুদকের জনসংযোগ দফতর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন।এরআগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৪ জন চিকিৎসক ও তিন জন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি ) ডা.মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন ও এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৯ মে থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ হয়। আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মেসার্স ওয়ার্সি সার্জিক্যাল, জেনেটিক ট্রেডিং ও রিলায়েন্স সলিউশন লিমিটেডের ভুয়া প্যাডে ভুয়া স্বাক্ষর করে বেশি দামে জাল বাজারদরের কাগজপত্র তৈরি করেন।
আসামিরা ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দ ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ছাড়াই তিনটি পৃথক দরপত্র দেখিয়ে বাজার দরের অধিক মূল্যে এমএসআর (ভারি যন্ত্রপাতি) সরবরাহের মাধ্যমে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪২৫ টাকা, ১ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ৬ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। #