দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেমের মাঝের রাস্তায় আব্দুর রাজ্জাকের লাশটি রোববার পড়ে আছে। পাশে কয়েকজন মানুষ দাঁড়ানো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গত রোববারে এক বৃদ্ধের লাশের ছবি ঘুরেফিরে নজরে আসছে। আর এই লাশ নিয়ে নানা কথা ফেসবুকে লেখা হচ্ছে।
এদিকে ফেসবুকে যা লেখা হয়েছে সেটা হলো- ওই বৃদ্ধ করোনার পরীক্ষা করাতে এসে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে জানতে পারেন তার পরীক্ষা ওইদিন হবে না। সাথে ছিলেন তার দুই ছেলে। বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় হাসপাতালের সামনেই রাস্তায় পড়ে যান তিনি। আর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিয়ে দু’একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালও সংবাদ পরিবেশন করে। শাহবাগ থানা পুলিশও বলেছে তারা এমন একটি খবর শুনেছে।
ফেসবুকের ভাষ্য থেকে জানা যায়, ওই ব্যক্তির শরীরে জ্বর থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। তার নাম আব্দুর রাজ্জাক (৬৩)। বাসা মোহাম্মদপুর এলাকায়।
ফেসবুকে আরো লেখা হয়েছে ওই ব্যক্তি নিজে একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন মৃতাবস্থায় রাস্তার উপর পড়েছিলেন তখন তাকে ঢাকার জন্য একটুকরো কাপড় পাওয়া যায়নি।
সোমবার রাজ্জাকের ছেলে সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ডাক্তারের কথায় তারা দুই ভাই তাদের বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান করোনা পরীক্ষার জন্য।
জানা গেছে, প্রায় তিন ঘণ্টা হাসপাতালে ওই বৃদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে জানতে পারেন ওইদিন তার পরীক্ষা হবে না। পরে বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় রাস্তার ওপর পড়ে যান। দুই ছেলে তার বাবাকে নিয়ে দৌঁড়ে বারডেমে নিয়ে গেলে সেখানেও তাদের কোনো স্থান হয়নি। পরে রাস্তার ওপরই দুই ছেলে বাবার লাশ রেখে দেন। পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি নিয়ে যায়। নমুনা সংগ্রহের পর রাতেই লাশটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে পুলিশ গণমাধ্যমকে বলেছে।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় আব্দুর রাজ্জাক পড়ে নিয়ে মারা গেছেন ফেসবুকের এমন বক্তব্য সঠিক নয় বলে তার ছেলে সালাহ উদ্দিন একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন। তার বাবার ঠাণ্ডা জ্বর থাকায় তিনি একজন অধ্যাপককে দেখান। ওই অধ্যাপকের পরামর্শেই হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন সেটা ঠিক। সাথে তারা দুই ভাই ছিলেন।
তারা গিয়েছিলেন টিকিট সংগ্রহের জন্য। তার বাবা রাস্তায় অটোরিকশার মধ্যে বসা ছিলেন। ঘণ্টা দেড়েক পর অটোরিকশার ড্রাইভার এসে বলেন, তার বাবা কেমন যেনো করছে। তারা গিয়ে দেখেন তাদের বাবা রাস্তার উপর পড়ে আছেন। হাত-পা ছড়িয়ে দিয়েছেন। রমনা থানার এসআই খালেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। তিনি লাশের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন।
গত সোমবার রাতে রমনা থানার ডিউটি অফিসার জানায়, লাশটি উদ্ধার করে তারা ওইদিনই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এসআই খালেদ লাশটি উদ্ধার করেন। ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পুলিশ বলেছে, পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিপোর্টে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। # কাশেম