দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের সাথে সশ্লিষ্ট ৫ প্রতিষ্ঠানের মালিককে তলব করেছে দুদক।
তলবি নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোং লিঃ এর সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মোঃ মতিউর রহমান, এলান কর্পোরেশন লিঃ এর চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিঃএর পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটারের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিঃ-এর মালিক মোঃ মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।
তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য সরঞ্জাামাদি সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। আর ওইসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়েছে।
বুধবার (১ জুলাই) দুদক পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলীর ম্বাক্ষরিত জরুরি এই তলবি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান,দুদককের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
দুদকের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ-এর নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
জানা যায়, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ মতিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম আমিনকে আগামী ৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয় । মোঃ হুমায়ন কবির ও মোঃ মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে ৯ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে। # কাশেম