দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
স্তন ক্যান্সারে বছরে সাড়ে ১২ হাজার নারী আক্রান্ত হন। এরমধ্যে ৭ হাজার নারী মারা যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই তথ্য জানান।
ডিআরইউর সাগর-রুনী মিলনায়তনে নারী সদস্য ও পরিবারের জন্য দিনব্যাপী স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং বিষয়ে অনুষ্ঠিত হেল্থ ক্যাম্পে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপস্থিত সদস্যরা স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেন। তবে হেল্থ ক্যাম্প চলাকালে বেলা ১১টায় স্তন ক্যান্সার বিষয়ে প্রশ্নোত্ত পর্বে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি প্রশ্নের জবাব দেন।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের নেতৃত্বে নারী চিকিৎসক দল ক্যাম্পে অংশ নেন।
ডিআরইউ কল্যাণ সম্পাদক কাওসার আজমের সঞ্চলনায় হেল্থ ক্যাম্পে মূল আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।
এসময় কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান, ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কার্যনির্বাহী সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন ও রাশেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান, দেশে স্তন ক্যান্সারের যে ব্যাপকতা রয়েছে। জনসচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিক অবস্থায় এটা নির্ণয়ের জন্য স্ক্রিনিং কর্মসূচি জনগণের নাগালের মধ্যে নেয়া প্রয়োজন।
সরকার ইতিমধ্যে ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২৩শ’ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তাবায়িত হলে নতুন ক্যান্সার কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা ও স্ক্রিনিং মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে।
ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও স্তন ক্যান্সারে নারীদের অবস্থান শীর্ষে। প্রতিবছর বাংলাদেশে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি নারী আক্রান্ত হন এই রোগে। এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার রোগীই মারা যান। দেরীতে রোগ ধরা পড়া, সঠিক ও পুরো চিকিৎসা না নেওয়া বা সুযোগ না থাকা, চিকিৎসা-পরবর্তী ফলোআপ না হওয়া স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, স্তন ক্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো। তাই সন্তানকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সকল মায়ের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ডা. রাসকিন বলেন, নিঃসন্তান নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া বেশি বয়সে সন্তান, ৩০ বছর বয়সের পর বিয়ে ও প্রথম সন্তানের মা হওয়া স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। শাকসবজি ও ফলমূল না খেয়ে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে স্তন ক্যান্সার বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারে (৭/৯ বি বøক) শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ও অন্যান্য দিন বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিআরইউ সদস্য ও পরিবার চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
রেডিয়্যান্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটিডে ও কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহায়তায় এই হেল্থ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। #