জিহাদ হোসেন রাহাত লক্ষ্মীপুর,
লক্ষ্মীপুরের সন্ত্রাসী টিপু বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুজন (১৮)। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মা আমেনা বেগম। বছর চল্লিশ বয়সী এই নারীর সংসারে তিন ছেলেই একমাত্র সম্বল। মেজো ছেলে সুজনের গায়ে গুলি লাগার পর থেকে মুখে কথা ফুটছে না তার।
আহত সুজনের বাড়ি সদর উপজেলার চররুহিতা ইউপির রসুলগঞ্জ গ্রামে। তার বাবা শাহীন কাদের একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি। তিনি বলেন, আমার বড় ছেলেটিও কম বুঝে। আমিও অসুস্থ। ছেলে ঢাকা মেডিকেলে। মেলা টাকা লাগবে।
গত রোববার (৪ আগষ্ট) জেলা শহরে ছাত্র জনতার মিছিল চলাকালে গুলি বর্ষণ করে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন টিপু। ঐদিন জেলায় প্রায় ১২ টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। একের পর এক ধেয়ে আসা গুলির মোট আটটি শরীরে লাগে সুজনের। সেদিনই সুজনকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ফুসফুস ও পেট থেকে দুটি গুলি বের করা সম্ভব হলেও বাকি ছয়টি গুলি এখনো শরীরে রয়েছে তার।
শ্রাবণ হোসেন নামে রোগীর চাচাতো ভাই সম্পর্কীয় একজন বলেন, সুজন আইসিইউতে আছে। তার শরীরে এখনো ছয়টি বুলেট আছে। চিকিৎসা খুবই ব্যয় বহুল। সে বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
পরিবার জানায়, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন তারা। আরো টাকার দরকার।
দূরবীণ/ একে