দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
শহীদ এম. মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের গেট ধসে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার গুল্টায় অবস্থিত শহীদ এম. মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজটি। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
ঘটনার পরপরই রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো: ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) আনুমানিক বিকেল চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই তাড়াশ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার গাবর গ্রামের মৃত: জাহারুল্লার ছেলে তোজাম (৫৫), বস্তুল গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৩০), নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে আসিফ (১২) ও অন্যজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুল্টাবাজারের হাট বার ছির মঙ্গলবার। এ কলেজ গেটের সামনে সাপ্তাহিক গো-হাট (গরুর হাট) বসে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হাট যখন জমে উঠে, ঠিক তখনই কলেজের গেট ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শহীদ এম. মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল বাশার অভিযোগ করেন, কোনো রকম নকশা ছাড়াই জাইকা, গুল্টা মিশন ও স্থানীয় ব্যক্তির সহায়তায় কলেজের অধ্যক্ষ আসাদউজজামান একক সিদ্ধান্তে সৌন্দর্য বর্ধন কারার নামে তিন মাস আগে ইটের তৈরি ওই গেটটি নির্মাণ করেন। নিম্নমানের কাজ করার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে শহীদ এম এ মুনসুর আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আসাদউজ জামান বলেন, গুল্টা মিশনের অর্থায়নে এ গেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আমাদের কোনো কমিটি নেই, আমরা গেটটি করিও নাই।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ৪জন নিহতের খবর নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। # কাশেম