দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুই মামলায় সিজিএ সমবায় ঋণদান লিমিটেডের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে সমিতির ক্যাশিয়ার আবদুল কাদেরকে দুই মামলার সাত বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের
এছাড়াও রায়ে এক মামলায় দুই আসামিকে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা টাকা অর্থদণ্ড এবং আরেক মামলায় এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন আসামি রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। এরপর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে জামিনে থাকা অপর আসামি আবদুল কাদের আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা এবং ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রমনা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল হক। মামলায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, অডিটর জহিরুল ইসলাম এবং ক্যাশিয়ার আবদুল কাদেরকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা সরকারি দপ্তরের অডিটর হিসেবে সুদীর্ঘকাল চাকরি করেন। কিন্তু তারা অসৎ উদ্দেশ্যে সমিতির আয়-ব্যয়ের কোনো অডিট করাননি, যথাযথভাবে আর্থিক হিসাব ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ বা হালনাগাদ করেননি। এমনকি দৈনিক/মাসিক/বার্ষিক আয়-ব্যয়ের ব্যালেন্সশিটও তৈরি করেননি। নিয়মিত সভা বা সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে দেননি। তারা সমিতির অর্থ-সম্পদের রক্ষক হয়ে পরস্পর যোগসাজসে ২০১০ সালে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৪ টাকা এবং৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
মামলা দুটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রফিকুল ইসলাম ও আবদুল কাদেরকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। জহিরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
২০২০ সালের ৫ মার্চ এ দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।