দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত রাজধানীর সায়েদাবাদ আন্ত:জেলা আধুনিক বাস টার্মিনালটি বস্তিতে পরিনত হয়েছে। এর ভেতর বিভিন্ন ধরনের শতাধিক অবৈধ দোকানপাট পুরো টার্মিনালের স্বাভাবিক পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বলতে গেলে আধুনিক ও সুন্দর নকশায় নির্মিত এই বাস টার্মিনালের ভেতরে নকশা বহিভূত কয়েকশত দোকানপাট টার্মিনালের পরিবেশকে ধ্বংস করছে। সেইসাথে সাধারণ যাত্রীদের জীবনকে করছে অনিরাপদ। যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানীও বাড়ছে। টার্মিনালের ভেতর নির্মিত অবৈধ দোকানপাটে ক্রমেই বাড়ছে। আরো বাড়ছে বখাটে ও ভবঘুরে লোকজনের জটলা।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারাও অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা এই টার্মিনালের ভেতরে প্রভাবশালীদের শেলটারে পরিচালিত এসব অবৈধ দোকানপাটের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
জানা যায় , ২০০৮ সালে শর্তসাপেক্ষে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ভেতরে সম্পূর্ণ অস্থায়ীাভাবে টোকেনের মাধ্যমে ছোট ছোট কিছু দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু টোকেনে বরাদ্দ প্রাপ্ত দোকানদাররা শর্ত অমান্য করে নিজেদের ইচ্ছামতো দোকান নির্মাণ করেছেন। ফলে টার্মিনালটি বর্তমানে বস্তিতে পরিনত হয়েছে। টার্মিনালের ভেতরে ময়লা আর্বজনা আর দূরগন্ধ ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে এই টার্মিনালের স্বাভাবিক পরিবেশ নেই বললেই চলে।
এদিকে ডিএসসিসির পরিবহন বিভাগ থেকে এসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে টার্মিনালের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু নানা অযুহাতে টার্মিনালের ভেতর ও আশপাশের অবৈধ দোকানপাট এবংঅবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তবে ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২১ নভেম্বর সায়েদাবাদ টার্মিনালের সব অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
তারা আরো জানান, গত ৭ নভেম্বর উচ্ছেদ অভিযানের কর্মসূচি ছিল। ওইদিন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যু উপলক্ষে সাধারণ ছুটি থাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে যেকোনো মূল্যে আগামী ২১ নভেম্বর সায়েদাবাদ টার্মিনালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবেই। #