দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনা টেস্টের সাড়ে ৫ হাজার সার্টিফিকেট দিয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেছেন ওইসব সার্টিফিকেটের মধ্যে অনেক আছে টেস্ট না করে দেয়া হয়েছে। তদন্তে সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২২ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদের মামলা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসস।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাহেদ ৫দিন যাবত পুলিশ রিমান্ডে ছিলেন। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাহেদের মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্থান্তর করেছে। র্যাব শুরু থেকে সাহেদের এই মামলাটি দেখছে। সাহেদ কি পরিমান করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট প্রদান ও স্যাম্পল কালেকশন করেছে এসব বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাহেদকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার দেখানো মতে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এই মামলা ডিবি তদন্ত করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, ‘আমরা শুনেছি সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় বেশকিছু মামলা হয়েছে। এসব মামলা সংশ্লিষ্ট জেলার থানা তদন্ত করবে।
সাহেদ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাহেদ মাদক ব্যবসায়ী কিনা এমন তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি। অস্ত্র ও মাদকের সাথে অন্য কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ডা. সাবরিনার মামলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি বলেন, সাবরিনার মামলার তদন্তের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। শীঘ্রই এই মামলার চার্জশীট দাখিল করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট জালিয়াতি মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছিল আদালত। #