দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সাবধান ! করোনা ভাইরাস আতঙ্কের ভেতরেও ভয়ঙ্কর অপরাধী, ডাকাত ও অপহরণকারী চক্র রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন কৌশলে মাঠে নামছে। তারা গভীর রাতে PPE, মাস্ক ও গ্লাভস পড়া ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ,পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর নকল পোশাক ব্যবহার করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধানের নামে বড় বড় ভবনে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তবে মাস্ক, গ্লাভস ও PPE পড়া এই ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্র একবার কোনো ভবনে কিংবা বাসায় ঢুকতে পারলে পুরো ভবনের অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করবে এবং সবকিছু তছনছ করে ফেলবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত ঘটনা:
এদিকে একটি ঘটনাটি শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আনুমানিক ১ টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় বিল্ডিং-এ (উত্তরা ) মাস্ক, গ্লাভস ও PPE পড়া ৩/৪ জনলোক এসে বিল্ডিং এর গার্ডকে বাহির হতে ডাকতে থাকেন। তারা ওই ভবনের গার্ডকে জানান , তারা একটি হাসপাতাল থেকে এসেছেন । তাদের কাছে তথ্য রয়েছে এই বিল্ডিং-এ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। আর ওই রোগীকে নেবার জন্য তারা এসেছেন। বাহির থেকে তারা বার বার গার্ডকে মেইন গেট খুলে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
কিন্তু ওই ভবনের গার্ডের বর্ণনা মোতাবেক অপরাধীদের ২/৩ জন PPE, মাস্ক ও গ্লাভস পড়া এবং দু’জন সেনাবাহিনীর পোষাক পড়া ছিলেন। তারা সেনাবাহিনীর পোষাক পড়া লোকদেরকে দেখিয়ে দ্রুত গেট খোলার জন্য অনেক চাপ সৃস্টি করতে ছিল।
তবে সাহসী গার্ড খানিকটা ত্যাড়া প্রকৃতির হওয়ায় তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন এখন স্বয়ং বাড়িওয়ালা উপর থেকে এসে গেট খোলার জন্য তাকে বললেও তিনি কিছুতেই গেট খুলে দেবেন না। তাদের যদি সত্যি সত্যিই করোনা রোগী নিয়ে যেতে হয়, তবে সকাল পর্যন্ত বাহিরে অপেক্ষা করতে হবে। কোনভাবেই গার্ড গেট খুলে না দেয়ায় তারা তাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায় এবং শাসিয়ে যায় যে সকালে এসে তাকে দেখে নেবে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সকালে কেউ এসে সে বাড়িতে করোনা রোগী নিতে আসেনি, কারণ সে বাড়িতে প্রকৃতপক্ষে কোন করোনা রোগী নেই।
সুতরাং ধারণা করা যাচ্ছে যে রাত একটার দিকে যারা সে বাড়িতে করোনা রোগী নেবার জন্য এসেছিল তারা চোর বা ডাকাত হতে পারে। গার্ড এর সুবুদ্ধির কারণে পুরো বিল্ডিং অযাচিত দূর্ঘটনা হতে রক্ষা পেয়েছে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছে। আর সমস্ত বাড়িওয়ালাদের /ফ্ল্যাটর মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন তাদের বাড়ির দারোয়ান/ গার্ডকে বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করেন। # কাশেম