বিশেষ প্রতিনিধি, দূরবীন নিউজ:
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাণঘাতি করোনা সংক্রামণের ভয়াবহ অবস্থার জন্য সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা’কে দায়ী করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার ( ১১জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ দেখেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় যে করোনা ছড়াবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। আমরা চিতকার করে বলেছি, চিতকার করে বলেছি। কোথাও কোনো ব্যবস্থা করে নাই।”
‘‘ আমরা ঠাকুগাঁও জেলার হাসপাতালে কোনো আইসিইউই নাই। আপনার অক্সিজেন নাই। আজকেও পত্রিকায় ছবি বেরিয়েছে রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে সবাই হাঁসফাঁস হাঁসফাঁস করছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ভারতে, পশ্চিম বাংলায় এগুলো হচ্ছে- এই অবস্থা তো আমরা দেখেছি। তারপরেও স্মভিত ফিরে পায় না। ইউ আর প্রোটেক্টিং দোউস পিপলল।”‘‘ওই চোরগুলোকে, ডাকাতগুলোকে আমরা প্রোটেক্ট করতেছি- দি ইজ ভ্যারি আনফরচুনেট।”
‘মানুষের দাঁড়াবার জায়গা নেই’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এখন বাংলাদেশের মানুষের দাঁড়াবারও কোথাও জায়গা নেই্। একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোথাও গিয়ে যে আশ্রয় পাবে, একটি রিলিফ পাবে-কোথাও জায়গা নেই। আগে আমরা সবাই মনে করতাম যে, আদালত বোধ হয় আমাদের সেই জায়গা।
যে জায়গা গে্লে আমরা আশ্রয় পাবো, প্রতিকার পাবো, রিলিফ পাবো। এরকম বিভিন্নভাবে সেই রিলিফটা প্রথম দিকে আমরাও পেয়েছি। এখন দেখছি এটা শূণ্য অবস্থায় চলে গেছে।”
তিনি বলেন, দেশে সুশাসন না থাকলে, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। আমাদের সংবিধানে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। আজকে আইনের শাসনের কথা বলে, আইনকে পুরোপুরিভাবে ধবংস করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকায় আসাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, এটাকে বলেছেন হেফাজতের তান্ডব। আমি এই শব্দটার সাথে একেবারেই একমত নই।”
দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ তার ব্যাপারে হঠাৎ করে একটা মিথ্যা অভিও ক্লিফ ছাড়া হয়েছে। আপনারা ভালো করেই জানেন যেকোনো জিনিস তৈরি করা কোনো কঠিন কাজ না।
নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হলো। তারপর রিমান্ডে নিয়ে গেলো। সেই রিমান্ড আর শেষ হয় না, ১০দিন, ৫দিন, ৭দিন রিমান্ড। আবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।”
‘‘ একজন মহিলা, অ্যাডভোকেট, রাজনীতিবিদ, কাম ফ্রম ভেরি গুড ফ্যামিলী, সোশ্যাল স্ট্যাটাস যে কোনো মানুষের চাইতে উপরে নিপুণ রায় চৌধুরী। কিন্তু গত তিন মাস যাবৎ তাকে কারাগার আর বিভিন্ন থানায় নিয়ে চরম হয়রানি করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিপুণ রায় চৌধুরীর অপরাধ হচ্ছে মহিলা হলেও তুমি এতো অ্যাকটিভ কেনো? তুমি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে, তুমি এতো কথা বলো কেনো?”
কারাবন্দি দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীরও প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আসলাম চৌধুরী কী অপরাধ? যেটা দেখতে পাই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে নাই। তাই বলে তাকে আজকে ৫ বছর জেলে রাখা হয়েছে। বিচার তো হচ্ছে, বিচার হবে।”
দলের চেয়ারপারসনখালেদা জিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলের নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।
/ আমিনাহাবীব/ কাশেম/দূরবীন নিউজ